সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস দেয়ার বিধান কর, নিরাপদ সড়ক চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাও, বর্ধিত বাস-লঞ্চ ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বরাবর প্রগতিশীল ছাত্র জোট স্মারকলিপি পেশ করেছে।
‘‘সরকারের নীতি নির্ধারকদের মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে বারবার গণবিরোধী বেশ কিছু নীতি গ্রহণের কারণে সরকারের অনেকগুলি উদ্যোগ জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ তৈরি করছে।’’
জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধি কৃষি উৎপাদন, রূপ্তানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান, নিত্যপণ্যের দাম ও গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধিসহ সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার অনেকগুলি বিষয়ের সাথে জড়িত।
করোনা পরবর্তী লকডডাউন শেষে নিত্যপণ্য মূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির মাঝে সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বাজারের চলমান আগুনকে আরেক দফা উস্কে দিয়েছে। এর মধ্যে গণপরিবহন, পণ্য পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করে দাম নির্ধারণ করে দিলেও গণপরিবহন মালিক, শ্রমিকরা এই ভাড়া মানছে না।
ডিজেল-কেরোসিনসহ দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে তারা জনগণের বিপক্ষে, লুটেরা সিন্ডিকেটের পক্ষে। জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে, বিকল্প সমাধান চেষ্টা না করে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির মানে ৯৫ ভাগ মানুষকে সরাসরি আক্রমণ করার সমতুল্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কমাও, গণপরিবহন ভাড়া কমাও ও সকল গণপরিবহনে হাফ পাশ ভাড়াসহ ৩ দফা বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরিবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি’র উদ্যোগে গণদাবি দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অবিলম্বে ডিজেল-কোরোসিনের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একদিকে গরিব মানুষের নামে বরাদ্দসহ দেশব্যাপী চলছে লুটপাট-দুর্নীতি অন্যদিকে চাল, তেল, ডালসহ দ্রব্যমূল্যের সাথে হঠাৎ করেই কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের সাথে তামাশা করেছে।
ডিজেল -কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি, তেল, চিনি, ডাল, চাল, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রংপুর বামগণতান্ত্রিক জোট।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে একদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা হচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদক কৃষক প্রতারিত হচ্ছে। অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট শুধু বাজার নয়, গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুদদারদের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষ
