র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাব জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি প্রতারণা ও ধর্ষণের মত ঘৃন্য অপরাধ দমন করে ভুক্তভোগী নিরীহ জনসাধারণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৪ (চার) গণধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মো. শুভ (১৯), ২। মো. ইসমাইল ওরফে কুট্টি (২২), ৩। মো. মুন্না (২১) এবং ৪। মো. আখের খান (১৯) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ১৯ আগস্ট বিকেল ৪টায় সংঘটিত ঘটনার মূল হোতা ধর্ষক মো. শুভ (১৯) পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে (১৩) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক শুভ’র ০৪ বন্ধু মো. ইসমাইল ওরফে কুট্টি (১৮), মো. মুন্না (২১), মো. আখের খান (১৯), মো. রাকিব (২৫) ভিকটিমকে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের জঙ্গলে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ধর্ষণকারীরা ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পলাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা ভিকটিমকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে এবং ঘটনা ঘটার মাত্র ০৬ ঘন্টার মধ্যে উপরোক্ত ০৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে।
ডব্লিউইউ