পাকিস্তানের হতাশা এবং সমালোচনার মুখোমুখি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে, পাকিস্তানকে অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে, বাবর আজমের দল এখন টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে। পাকিস্তান প্রথম দুইটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে, যার ফলে সমালোচনার ঝড় বইছে দলটির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স এবং অধিনায়কত্ব নিয়ে সাবেক ক্রিকেটাররা কঠোর সমালোচনা করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যায়, এবং পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ের কাছেও হারের মুখোমুখি হয়। এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর সাবেক তারকারা যেমন শোয়েব আখতার এবং জাভেদ মিয়াঁদাদ পাকিস্তানের ব্যাটিংকে ‘লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তারা দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন এবং টিম ম্যানেজমেন্টেও পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

এত কিছুর পরও, পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার হারিস রউফ সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। শনিবার (২৯ অক্টোবর), সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানান, দলের ফোকাস শুধুমাত্র তাদের খেলার উপর। সমালোচকদের কথা উপেক্ষা করে, তারা টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য মনোনিবেশ করছেন।

রউফের মতে, “মানুষের কাজ কথা বলা, তাই তারা বলবেই। যে কোনো খেলায় সমালোচনা হবে, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা এখানে এসেছি একটি টুর্নামেন্ট খেলতে, এবং আমাদের পূর্ণ মনোযোগ সেখানেই রয়েছে। আমরা সমালোচনাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি এবং নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেই।”

পাকিস্তানের সামনের চ্যালেঞ্জ হল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রোববারের (৩০ অক্টোবর) ম্যাচ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয় পেতে হবে তাদের। শুধু নেদারল্যান্ডস নয়, পরবর্তী তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জিততে হবে পাকিস্তানকে। তবুও, সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য এই তিন জয়ও যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ভর করছে গ্রুপের অন্যান্য দলগুলোর পারফরম্যান্সের উপর।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এখনো সুযোগ আছে বলে আশাবাদী রউফ। তিনি বলেন, “আমরা অতীতের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি এবং আগামী ম্যাচগুলোতে ভালো পারফর্ম করতে মনোনিবেশ করছি। নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। আমরা জানি, বিশ্বকাপে প্রতিটি দলই শক্তিশালী। সবাই কাপ জেতার জন্য এখানে এসেছে।”

পাকিস্তানের দুই ম্যাচের হারের পর, সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভও বৃদ্ধি পেয়েছে। রউফ এই ব্যাপারে বলেন, “আমরা বুঝি যে আমাদের সমর্থকরা কষ্ট পেয়েছে, কিন্তু আমরা নিজেদের ভুলগুলোকে ঠিক করে আগের চেয়ে ভালো পারফর্ম করার প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি।”

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ এখন বেশ অনিশ্চিত। তবে, রউফ এবং তার দল এখনো হাল ছাড়ছেন না। তারা টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে চান।