সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ১৩টি উপকারিতা
রোজার পর শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনের যোগান দিতে খেজুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো এসিড, শর্করা, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার পর দেহের গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। নিচে খেজুরের কিছু প্রধান পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনা করা হলো:
১. কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট মুক্ত
খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল বা অতিরিক্ত চর্বি নেই। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্ষতিকর চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়, যা স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
২. প্রোটিন সমৃদ্ধ
খেজুর প্রোটিনে পরিপূর্ণ, যা পেশী গঠন এবং শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
৩. ভিটামিনের উৎস
খেজুরে বি১, বি২, বি৩, বি৫, এ১ এবং সি ভিটামিন রয়েছে, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৪. আয়রন সমৃদ্ধ
আয়রন দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর আয়রন আছে, যা হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দুর্বল হৃৎপিণ্ডের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৫. ক্যালসিয়াম যোগায়
খেজুর ক্যালসিয়ামে ভরপুর, যা হাড়কে শক্তিশালী করে এবং শিশুদের মাড়ি মজবুত করতে সহায়তা করে।
৬. ক্যানসার প্রতিরোধ
খেজুরে প্রাকৃতিক আঁশ রয়েছে, যা পেটের ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যায়।
৭. ওজন কমাতে সহায়তা
খেজুর ক্ষুধা কমাতে সহায়ক, যা পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরের পুষ্টিগুণ পরিপাকে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর। এটি ডায়রিয়ার জন্যও উপকারী।
৯. সংক্রমণ প্রতিরোধ
খেজুর যকৃতের সংক্রমণ, গলা ব্যথা, সর্দি, জ্বর এবং ঠাণ্ডায় সহায়ক। এছাড়া এটি অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
১০. রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ
খেজুরে প্রচুর মিনারেল এবং আয়রন থাকায় এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়ক। নিয়মিত খেজুর খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।
১১. কর্মশক্তি বাড়ায়
প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর দ্রুত কর্মশক্তি বাড়ায়। রোজার পর মাত্র দুটি খেজুর ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
১২. স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুরে থাকা ভিটামিন মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি বাড়ায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
১৩. হৃদরোগ প্রতিরোধ
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম বিভিন্ন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে।
খেজুরের এই উপকারিতাগুলো জানা থাকায়, শুধু রমজান মাসেই নয়, সারাবছরই খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।