দুধ ও খেজুর একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা
বর্তমানে ভিন্ন ধরণের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। বিশেষত, স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ফুড কম্বিনেশন অনেক উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে শরীরের জন্য আশ্চর্যজনক কিছু উপকার পাওয়া যায়।
খেজুরের পুষ্টিগুণ:
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। খেজুরে আরও থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ফাইবার, এবং প্রোটিন। এছাড়া প্রাকৃতিক চিনি, যেমন ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজও খেজুরে থাকে।
দুধের পুষ্টিগুণ:
অন্যদিকে, দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন, আয়রন, ভিটামিন বি ১২, জিংক, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে প্রায় ৪৪ ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে ১৮ ধরনের অ্যামাইনো এসিড, ৯টি মিনারেল, ১০টি ভিটামিন, ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
দুধ ও খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা:
১. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি: খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকায় এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে খেজুর ভিজিয়ে তা গরম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ালে ১০ দিনের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
২. বয়সের ছাপ কমানো: দুধ ও খেজুরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। দুধে কয়েকটি খেজুর ভিজিয়ে রেখে তা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখলে ত্বক ভালো থাকে। সপ্তাহে একদিন এই পেস্ট মুখে ব্যবহার করলে ত্বকে পরিবর্তন দেখা যাবে।
৩. শক্তি বৃদ্ধি: ১০০ গ্রাম খেজুরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির ১৫ শতাংশ এবং দুধে প্রায় ৯ শতাংশ শক্তি থাকে। দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই এই ফুড কম্বিনেশন কতটা হজম করা যাচ্ছে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।