মালয়েশিয়ার অদ্ভুত স্কোরে ব্যাডমিন্টনে জয়

আজ মালয়েশিয়া ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে মঙ্গোলিয়াকে ১১০-৪৮ এবং নরওয়েকে ১১০-৫১ পয়েন্টে পরাজিত করেছে। তবে এই স্কোর দেখে যে কেউ ভাবতে পারেন, এটি যেন বাস্কেটবল বা ক্রিকেটের স্কোর। আসলে, এটি ব্যাডমিন্টন খেলার নতুন রিলে স্কোরিং পদ্ধতির ফলাফল।

চীনের নানচাং শহরে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় মিশ্র দল ইভেন্টের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ১১-পয়েন্টের খেলা (ম্যাচ নয়) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১০টি খেলা খেলা হয়। প্রথম দল যে ১১০ পয়েন্ট অর্জন করবে, তারাই বিজয়ী হবে।

মালয়েশিয়ার জাতীয় জুনিয়র দলের প্রধান কোচ জেফার রোসোবিন জানান, তার খেলোয়াড়রা এই নতুন ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নিচ্ছে। তিনি মনে করেন, মালয়েশিয়ার সামনে এবার পডিয়ামে জায়গা করে নেওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে।

এই নতুন স্কোরিং পদ্ধতি অনেকের জন্যই কিছুটা অদ্ভুত ঠেকতে পারে, কারণ সাধারণত ব্যাডমিন্টনের খেলা তিন সেটের ম্যাচের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে খেলাগুলো ছোট হলেও দ্রুতগতির এবং উত্তেজনাপূর্ণ হচ্ছে।

রোসোবিন আরও বলেন, “প্রথমদিকে এই ফরম্যাটে খেলা খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন ছিল, কারণ এতে শারীরিক এবং মানসিকভাবে দ্রুত সামঞ্জস্য করতে হয়। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত এবং আমি বিশ্বাস করি, আমরা ভালো ফল করতে পারব।”

এই নতুন রিলে স্কোরিং পদ্ধতিটি ব্যাডমিন্টনের গেমের গতি এবং প্রতিযোগিতার উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য প্রবর্তিত হয়েছে। ব্যাডমিন্টন বিশ্ব ফেডারেশন (BWF) মনে করে, এটি খেলাটির প্রতি নতুন আগ্রহ তৈরি করবে এবং প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ বাড়াবে।

বিভিন্ন দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, এটি খেলাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে, কারণ স্কোরিং দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে এবং প্রতিটি খেলা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোও এই নতুন ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। রোসোবিনের মতো অনেক কোচই তাদের খেলোয়াড়দের এই ফরম্যাটে দ্রুত মানিয়ে নিতে উৎসাহ দিচ্ছেন, কারণ এটি ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতায়ও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে মালয়েশিয়ার জন্য সামনের ম্যাচগুলোও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে দলের আত্মবিশ্বাস এবং বর্তমান পারফরম্যান্স তাদের পডিয়ামে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। মালয়েশিয়ার কোচ এবং খেলোয়াড়রা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে তাদের দেশকে ব্যাডমিন্টনে গৌরব অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এই নতুন স্কোরিং পদ্ধতির কারণে প্রতিযোগিতার প্রতিটি মুহূর্তেই উত্তেজনা এবং সাসপেন্স তৈরি হচ্ছে। খেলোয়াড়রা প্রতিটি পয়েন্ট অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, এবং দর্শকরা প্রতিটি ম্যাচে নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ করছেন।

বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের মিশ্র দল ইভেন্টের এই নতুন ধরণের খেলা ব্যাডমিন্টন খেলাটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।