দেশিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে যেকজন ছোট পর্দায় সুনাম কুড়িয়েছেন তাদের মধ্যে একজন অপি করিম। তার মিষ্টি হাসি ও মায়াবী চাহনি দর্শকদের মন কেড়ে নেয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় ১৯ বছর পর এই অভিনেত্রীকে দেখা যাবে এবার বড় পর্দায়।
গেল সাত-আট বছর পর্দার আড়ালেই ছিলেন অপি। আর সবশেষ বড় পর্দায় অভিনয় করেছিলেন ২০০৪ সালে। প্রায় দুই দশক পর প্রেক্ষাগৃহে আসছেন অপি। ২৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’।
কী ভেবে এতদিন পর সিনেমায় ফিরলেন অপি? ছবির নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী, সহশিল্পী ঋত্বিক চক্রবর্তী নাকি গল্প? নাকি যে চরিত্রে অপি অভিনয় করেছেন? এবার গণমাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন তিনি নিজেই।
বললেন, ”খুব একটা সোমার প্রেমে পড়ে কাজটি করিনি। সোমা যে ধরনের চরিত্র, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র আমি করেছি। আসলে ওই সময়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে জটিলতার মধ্যে ছিলাম। চাকরি, নিজের অসুস্থতা, বাবার অসুস্থতা, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যদি হাঁফ ছেড়ে কোথাও গিয়ে বাঁচতে পারতাম। তখনই ইন্দ্রনীল দা’র কাজটির প্রস্তাব আসে। ওনার ‘ভালোবাসার শহর’ দেখেছিলাম, যেখানে জয়া আপা কাজ করেছেন। তো স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কাজের ইচ্ছে ছিল। ছবিটা দেখতে দেখতেই মনে হয়েছিল, আহারে আমি যদি ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম! আরেকটা বিষয়, আমি তো খুব কাজ করি না, যেহেতু এটা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সমন্বিত কাজ; সেক্ষেত্রে এটা একটা সুযোগ।”
তবে টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী কারণে ‘মায়ার জঞ্জাল’ এ অপির যুক্ত হওয়া। অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, “প্রধান আকর্ষণ তো ঋত্বিক। যেহেতু রেগুলার কাজ করি না, আবার কবে কখন ঋত্বিকের সঙ্গে একটা কাজের সুযোগ পাবো! সেই সঙ্গে গল্পটা খুব সুন্দর। তাই সোমা নয়, গল্পটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এসব বিষয়ের যোগসূত্রেই ‘মায়ার জঞ্জাল’ করা বলে জানান অপি।