চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলে সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহত আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (৪ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ (৩৪), সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার শামসুল আলম (৬৫), নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের মিকি রেঙি লখরেটের ছেলে রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালীর সুধারাম থানার অলিপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের (৫০) এবং লক্ষ্মীপুরের মো. সালাউদ্দিন।
তাদের মধ্যে নিহত শামসুলের বড় ভাই ওবায়দুর মোস্তফা জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ গজ দূরে একটা লাকড়ির দোকানে বসে ছিলেন শামসুল।
এর আগে শনিবার বিকালে বিস্ফোরণের পরপরই পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন প্রায় ১৮ জন।
ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে করে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ উদ্ধার কাজে অংশ নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও। প্রায় ৪ ঘণ্টা চলে উদ্ধার অভিযান।
সীতাকুণ্ড ইউএনও মো. শাহাদৎ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় ছয়জন মারা গেছে। আর আহত ১৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণের খবর শুনেই সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সেখানে আগুন নেভার পর সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৫ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাও থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।