জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বেশকিছু শর্ত রেখে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। ‘খসড়া মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা’ শীঘ্রই অনুমোদন পাবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
তিন অধায়ের এ নীতিমালায় ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপুজার আগে-পরে ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, মহাসড়কে মোটরসাইকেলে যাত্রীবহন এবং ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের চেয়ে কম শক্তিসম্পন্ন বাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মহাসড়কে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ইঞ্জিন বা সমতুল্য ক্ষমতার (‘ল’ সিরিজ) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। অর্থাৎ ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের কম ক্ষমতার কোনো মোটরসাইকেল মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না।
এতে বলা হয়েছে, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক কোনো যাত্রী বহন করতে পারবে না। চালককে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (চেস্ট গার্ড, নি গার্ড, এলবো গার্ড, গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস, সম্পূর্ণ আঙুল ঢাকা গ্লাভস, ফুলপ্যান্ট, ও ফুল শার্ট) পরিধান করতে হবে। হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সনদ, ট্যাক্স-টোকেন) এবং রেট্রো রিফ্লেকটিভ নম্বরপ্লেট ও আরএফআইডি ট্যাগ ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও আরোহী উভয়কেই বিএসটিআই অনুমোদিত হেলমেট পরতে হবে। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে এন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) থাকতে হবে। মোটরসাইকেল বাঁ দিকের লেনে চালাতে হবে। ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। বৃষ্টির সময় অতি সহজে থামানো যায়, এমন গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। হঠাৎ মোটরসাইকেলের গতি বাড়ানো, থামানো বা দ্রুত মোড় নেওয়া যাবে না।
এছাড়া কুয়াশায় লো-বিম বা ডিপার জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে মোটরসাইকেল চালাতে হবে এবং দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ রাখতে হবে। একইসঙ্গে, রাতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় রেট্রো-রিফ্লেকটিভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে এবং ফার্স্ট এইড কিট বহন করতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) একধিক সূত্র নাম-পরিচয় প্রকাশ না করা শর্তে বলেছে, মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালাটি এখনো খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। আলোচনার পর এটি চূড়ান্ত হবে।