দেশে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। গেল কয়েক মাসের তুলনায় বেড়েছে রেমিটেন্স প্রবাহ। জানুয়ারি শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এ সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন বছরের প্রথম মাসে সুখবর দিলো প্রবাসীরা। চলমান ডলার সংকটের মধ্যে এমন খবর দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে। সংকট কাটাতে বৈধ্য চ্যানেলে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অবশ্য এতকিছুর পরও এখনই সংকট কাটছে না। আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংকট কাটাতে প্রবাসী আয় একমাত্র ভরসা।
চলতি বছরের প্রথম মাসে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। টাকার অংকে যা ২০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বেশি। গড়ে প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি। সদ্যবিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হয়েছে প্রবাসীদের। এজন্য রেমিট্যান্সে প্রণোদনাও বাড়ানো হয়েছে। প্রবাসী আয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগ কাজে আসতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গেল ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি এসেছে। আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি এসেছে ২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে গেল জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৫৪ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ১২১.০৩ মিলিয়ন ডলার, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৭.১০ মিলিয়ন ডলার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪.২৪ মিলিয়ন ডলার।