তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে প্রায় ২০ হাজার

সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০ হাজার। প্রতি মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ। তবে ভূমিকম্পের চতুর্থ দিনেও তুরস্কের আনতাকিয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানান, তার দেশে ১৬ হাজার ৫৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে সিরিয়ায় অন্তত ৩,১৬২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর- আল জাজিরা।

এদিকে তুরস্কের পাশে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে জাতিসংঘের প্রথম সাহায্যের চালান।

ভবন ধ্বসে আটকে পড়া জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা প্রায়শই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার সমালোচনা করছেন দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বাসিন্দারা।

এদিকে তুরস্ক সফর করে দেশটির ব্লক অঞ্চলের জন্য সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রাইসিস কমিশনার জেনেজ লেনারসিক। গেল বুধবার তুরস্কের গাজিয়ানটেপ পরিদর্শন করেছেন।

তিনি ব্লককে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করার পর সিরিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, গদি, বিছানা, খাবার এবং পোশাক সহায়তা দেয়।

এর আগে ইইউ সিরিয়ায় আশ্রয়, জল এবং স্যানিটেশনের জন্য অর্থায়নসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সাহায্য সংস্থাগুলো জন্য জরুরি তহবিল হিসাবে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সাহায্যের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একটি অনুরোধ আরও ইইউ সহায়তা করার অনুমতি দেবে।

এদিকে তীব্র তুশারপাত ও ঠাণ্ডার মধ্যে এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত লোকদের বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। কারণ অনুসন্ধান অভিযান চতুর্থ দিনেও অব্যাহত রয়েছে।

গেল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরে সিরিয়া এবং তুরস্ক সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরে প্রায় শতাধিক কম্পন (আফটারশক) অনুভূত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *