দেশে কোভিড-১৯ এর টিকার স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পেলে ফের আগের মতো কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (১ মার্চ) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে ‘করোনা টিকার বর্তমান অবস্থা’ নিয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের প্রায় ৯৬ ভাগ টিকা দেওয়া কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের টিকাদান কর্মসূচি আজ থেকে স্থগিত থাকবে। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ কোটি মানুষ। প্রায় ৭ কোটি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। আর চতুর্থ বা সেকেন্ড বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৮ মানুষ।’
ডা. আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ‘কোভ্যাক্সের কাছে বুস্টার টিকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আপাতত আমাদের হাতে কোনো বুস্টারের মজুত নেই। সে জন্য কিছু দিন তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের টিকা প্রয়োগ বন্ধ থাকবে।’
টিকার চাহিদার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মজুত শেষ হওয়ার আগেই চাহিদা দেওয়া হয়। তবে কোভ্যাক্সের টিকা বিনামূল্যে হওয়ায় কিছু করার নাই। তারা যখন দেবে তখনই পাওয়া যাবে। তাই টিকা পেতে দেরি হচ্ছে কিছুটা। আশা করছি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাব।’
এদিকে গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে ফাইজারের করোনা টিকা দেওয়া। মজুত থাকা টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।