গেল দুই মাসের ব্যবধানের তিন দফা বাড়লো বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে এবারও ৫ শতাংশ দাম বাড়নো হয়েছে। নতুন এই দাম ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর আগে, গেল ৩১ জানুয়ারি সবশেষ পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ। বর্ধিত ওই দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়। এর আগে নির্বাহী আদেশে গেল ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ১৪ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৬ টাকা ৩১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৬ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৯৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৫১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল ১৩ টাকা ২৬ পয়সা করা হয়েছে।
এদিকে সব ধরনের বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার। এরমধ্যে কৃষি, ধর্মীয়, দাতব্য, ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন, হাসপাতাল, রাস্তার বাতি, পানির পাম্প, ক্ষুদ্র শিল্প, শিল্প, বাণিজ্য ভিত্তিক সব ধরণের বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩নং আইন)-এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে এই দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিকে উপেক্ষা করে একের পর এক দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে সরকার।