গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও : বৃষ্টিতে মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়ায় অন্যের বারান্দায় আশ্রয় নেওয়া সত্তোর্ধ বৃদ্ধা মর্জিনা বেওয়াকে দেওয়া কথা রাখলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম। মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার নিজস্ব অর্থায়নে বৃদ্ধা মর্জিনা বেওয়াকে পাকা ঘর প্রদান করলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউপির নতুন পাড়া গ্রামে মর্জিনা বেগমের বাড়ি গিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল মামুন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহাগ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদা আক্তার মাসু সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গেছে মর্জিনা বেওয়ার একমাত্র মাটির ঘর। এ সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পেয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার নিজস্ব উদ্যোগে তিনি মর্জিনা বেওয়ার জন্য এ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
প্রসঙ্গত: সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের চলতি বছর বর্ষায় মাটির তৈরি একমাত্র ঘরটি ভেঙে পড়ে যায়। বাড়ি নির্মানে অর্থ না থাকায় সে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন করত।
মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। দিনমজুর ছেলের উপার্জনে কোনো রকমে সংসার চললেও ঘর তৈরী করার সামর্থ ছিলো না তার।
বৃদ্ধা মর্জিনা বেওয়া বলেন, নতুন ঘর পাওয়ার কথা তিনি ভাবতেও পারছিলেন না। এখন নতুন ঘর পাবেন মনে অনেক শান্তি পাচ্ছেন।
আগে ঝড়-বৃষ্টির সময় ভয়ে ঘুমুতে পারতেন না। এখন আর সেই ভয়ও থাকবে না। অশ্রুসিক্ত চোখে সীমাহীন কৃতজ্ঞতা জানালেন জেলা প্রশাসকসহ উপস্থিত সকল প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতি।
আইআর /